• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডক্টর জীনোবোধি  ভিক্ষুকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত

  • ''
  • প্রকাশিত ০৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রাম নগরের নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডক্টর জীনোবোধি  ভিক্ষুকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে শচি ভূষণ বড়ুয়া ও তার স্ত্রী রেখা বড়ুয়া বিরুদ্ধে, এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে সাধারণ বৌদ্ধ নর নারী  এবং বিভিন্ন সংগঠন, বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এসে প্রতিবাদ সমাবেশে করেছে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে।

এইদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া দুটো ভিডিও চিত্র প্রতিবেদকের হাতে এসেছে একটিতে দেখা যায় ডক্টর জিনোবোধি ভিক্ষুকে শারীরিক ভাবে আঘাত করা হচ্ছে এবং সেখানে মোবাইল কেড়ে নিতে মহিলার কথা বলার শব্দ শোনা যাচ্ছে অন্য একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়  ছিনিয়ে নেওয়া সেই মোবাইল ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা চালানোর এক পর্যায়ে হাতাহাতি ঘটেছে,  ভিক্ষুর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া রেখা বড়ুয়া নামে সেই মহিলা, অভিযোগ তুলে কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ‘বৌদ্ধ সমিতি মহিলা, বাংলাদেশ’ এর একজন নেত্রী। এর আগে  শুক্রবার (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. জিনবোধি ভিক্ষু বলেন, 'অবৈধ, অনির্বাচিত এবং বৌদ্ধমন্দির জালিয়াতকারী ওরা, হাইকোর্ট থেকে জজকোর্ট আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। তাদেরকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে বিহারের অর্থ  আত্মসাত, মানহানি মামলা, অবৈধ ভাবে বিহার দখলের তিনটা মামলা  রয়েছে ।

জিনোবোধি ভিক্ষু বলেন, আমরা বুদ্ধ পূজা ও  গুরু পূজার আয়োজন করি। ওরা উপাসক ও উপাসিকাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেয়। ওই সময়ে ওই নারী আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে নেয়। পুলিশ নিয়ে যখন গিয়েছি তখন মোবাইল ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে।'

যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে পুলিশ সহ আনুমানিক ৩০০ লোক উপস্থিত ছিলেন, আরো 'আমি ৬৪ বছর বয়সী একজন শিক্ষক। উনি আমার বোন, উনার ছেলেমেয়ে মানুষ করেছি আমি। আমি যৌন হয়রানিতে জড়িত না।' তিনি বলেন প্রত্যক্ষদর্শী ও উপস্থিত জনতা এবং সিসি টিভির  ফুটেজ দেখলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে ।

এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং জিনোবোধি ভিক্ষুকে  শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে সর্বস্তরের  বৌদ্ধ সাধারণ জনতা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে  মানৰ বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে, সমাবেশে   বক্তারা বলেন, এইটা একটা চক্রান্ত এবং দুই দিন ব্যাপী আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠান পন্ড করার অপ কৌশল। বক্তরা বলেন, রেখা বড়ুয়া নামের সেই মহিলা আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতেও সাজানো ঘটনা ঘটাতো ভিক্ষুর থাকার রুমের সামনে গিয়ে অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করেছিল।

জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক বলেন, 'সেখানে একটি অনুষ্ঠান নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। দুপক্ষই লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। সেগুলোকে সাধারণ ডায়েরি হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads